নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকার নবাবগঞ্জে অটো চালক রাকিব হত্যা মামলার লাশ উদ্ধারসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। শনিবার (১৮ জানুয়ারী) সকাল ১১ টার দিকে এক প্রেস কনফারান্সের মাধ্যমে ঢাকা জেলা দোহার সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। নিহত রাকিব (১৯) উপজেলার সাহাবাদ এলাকার মোঃ মোক্তার হোসেনের ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন, উপজেলার আগলা ইউনিয়নের আগলা এলাকার মোঃ আনিছ এর ছেলে সন্ধিগ্ধ ইয়াসিন (২১) ও উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের মেলেং এলাকার মোঃ শহিদ এর ছেলে আব্দুর রহমান আশরাফুল (১৮)।
প্রেস কনফারান্সের ঢাকা জেলা দোহার সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল আলম সাংবাদিকদের জানান, গত বুধবার (১৫ জানুয়ারী) সকালে রাকিব প্রতিদিনের মত তার নিজ বাড়ী থেকে অটো চালানোর উদ্দেশ্যে বের হয়। পরবর্তীতে সে আর বাড়ীতে ফিরে না আসলে ওই রাতেই আশেপাশে সব জায়গায় ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে খোঁজাখুজি করেও তাকে না পেয়ে পরের দিন রাকিবের বড় ভাই রবিউল হোসেন বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন।
এরই জের ধরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আনিছুজ্জামান এর দিক নিদের্শনায় ঢাকা জেলা দোহার সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল আলম এর তত্বাবধায়নে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মুমিনুল ইসলাম এর নেতৃর্তে¡ ও এসআই আব্দুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্সের একটি চৌকশ দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও স্থানীয় তদন্তে নিখোঁজ রাকিব হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্ধিগ্ধ ইয়াসিন ও আব্দুর রহমান আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল আলম আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা জানায় পরকীয়ার জের ধরেই নিহত রাকিবকে আগলা পূর্বপাড়া সাকিনস্থ সুবেদ আলী টিপু সাহেবের মৎস খামারের পূর্ব দক্ষিন কোনায় ডোবার পাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে মৎস খামারের দক্ষিণ পার্শ্বে ডেবার মধ্যে কচুরিপানার নিচে লাশ লুকিয়ে রেখেছিলো বলে স্বীকারোক্তি দেন।