দোহার প্রতিনিধিঃ ঢাকার দোহারের মুকসুদপুর ইউনিয়নের মইতপাড়া গ্রামে ২য় শ্রেণির ছাত্র রামীম (৮)। যে বয়সে পড়াশোনা ও খেলাধুলার সময়, ঠিক সেই সময়টি রামীম পার করছে আদালত পাড়ায়। শিশুটির বাবা শেখ রাসেল অভিযোগ করেন, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে তার বয়স ২০ বছর দেখিয়ে আদালতে মামলা করেছেন একই এলাকার সারোয়ার হোসেন হানিফ নামে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। ফলে ২মাস ধরে আদালতে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে তাকে। এমতাবস্থায় লজ্জায় স্কুলে যেতে পারছে না শিশুটি।
সরেজমিনে জানা যায়, মইতপাড়া বাজারে জমির মালিকানা নিয়ে ১৯৯১ সাল থেকে বিরোধ চলছিল শিশুটির বাবা রাসেলের সাথে। এনিয়ে মামলাও চলছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর স্থানীয় বিক্ষুপ্ত জনতা ছাত্রলীগ নেতা হানিফের অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরদিন ৬ আগস্ট ওই স্থানে রাসেল গং দখলকৃত জমি উদ্ধারে গেলে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন সরোয়ার। মামলায় ৮ বছরের শিশু ও এক নারীসহ আসামি করা হয় ৬ জনকে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়।
শিশুটির বাবা শেখ রাসেল আরও জানান, ৫ আগস্টের ঘটনার দায় তাদের ওপর চাঁপিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিএনপির রাজনীতি করার কারণে ২০১৫ সালে তাদের রাইস মিল দখল করে নেয় সারোয়ার। প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো বিচার পাননি শেখ রাসেলের পরিবার।
মামলার বিষয়ে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জানান, যারা ঘটনাস্থলে ছিলেন না তাদের নামেও দেওয়া হয়েছে মামলা। এঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
এদিকে দৃশ্যমান প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মামলার বাদী সারোয়ার আলম হানিফ জানান, শিশুটির নামে কোনো মামলা দেওয়া হয়নি। অফিস ও জমি দখল করতে আসায় এই মামলা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
দীর্ঘ দুই মাস ধরে মা বাবার সঙ্গে কেন আদালতে আসা-যাওয়া করে সেটা জানে না রামিম। শিগগিরই মহামান্য আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে রামিমকে মামলা হতে অব্যাহতি প্রদান করবে এমনটা প্রত্যাশা তার পরিবার ও স্বজনদের।