নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকার দোহার উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া কালেমা চত্ত্বরে দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে দোহার পৌরসভার চলাচলের প্রধান রাস্তা দখল করে গড়ে উঠেছে বাস স্ট্যান্ড। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, কালেমা চত্বর থেকে যানবাহন চলাচলের রাস্তাটি পূর্ব দিকে গিয়ে পশুহাসপাতাল হয়ে খাড়াকান্দা এলাকায় আঞ্চলিক সড়কে সংযুক্ত হয়েছে। অথচ এই রাস্তাটির প্রবেশ পথ বন্ধ করে তৈরি হয়েছে জয়পাড়া পরিবহন ও ডিএনকে পরিবহনের বাসস্টান্ড। পরিবহন মালিকরা জানান প্রায় ৩০টির অধিক বাস রয়েছে তাদের এই স্ট্যান্ডে। একাধিকবার প্রতিবাদ করলেও অদৃশ্য কারনে সড়ানো হয়নি এই অবৈধ বাসস্টান্ড। এতে পথচারীদের পরতে হয়েছে চরম দুর্ভোগে।
জানা যায় বিগত ক্ষমতাশীন দলের অনেকে নিয়ন্ত্রণ করতেন এই স্ট্যান্ডটি। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর এই অবৈধ বাস স্ট্যান্ড নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা। পথচারীরা জানান, এই রাস্তাটি দিয়ে যাওয়ার পথে নানা বিরম্বনায় পরতে হয় তাদের। দ্রুত এই স্থান থেকে বাস স্ট্যান্ড সড়িয়ে নিতে দাবি জানান তারা।
এদিকে পরিবহন মালিকদের দাবি স্থায়ী পুনর্বাসনের মাধ্যমে একটি বাস স্ট্যান্ড এর জায়গা নির্ধারণ করে দিয়ে এই দুর্ভোগ লাঘব হবে।
পরিবহন মালিক তারিকুল ইসলাম বলেন, আমরাও চাই আমাদের গাড়ি পার্কিং এর জন্য একটি জায়গা নির্ধারন করে দেয়া হোক। এনিয়ে প্রশাসনের সাথে আলোচনা চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে এই বাস স্ট্যান্ডটির দায়িত্বে রয়েছেন সিরাজ ফকির ও হাবিবুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি।
সরজমিনে গিয়ে ডিএনকে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা হাবিবুর রহমানকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইলে একাধিক ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জয়পাড়া পরিবহনের দায়িত্বে থাকা সিরাজ ফকির বলেন, আমি কয়েকমাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। শুনেছি প্রশাসনর অনুমতি রয়েছে।
এবিষয়ে দোহার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মামুনুল হক বলেন, আমি দেড় বছর হয়েছে যোগদান করেছি। যোগদানের পর থেকে বাস স্ট্যান্ডটি এভাবেই রয়েছে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু নতুন পৌর প্রশাসন গঠণ হয়েছে। আমরা এবিষয়ে আলোচনা করছি। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে কোন সমাধানে আসা যায় কিনা। এ বিষয়ে ডিএনকে পরিবহনের পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা শুরু থেকেই এভাবেই গাড়ি রেখেছি। এসময় লিখিত অনুমোদনের বিষয়ে বলেন,আমাদের কাছে কোন লিখিত অনুমোদন নেই।