নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকার দোহার উপজেলার অফিস সহকারি নজরুল কবির রিপন, প্রায় একযুগ ধরে রয়েছেন দোহারে কর্মরত। সেই সুবাধে সখ্যতা গড়ে উঠে এই উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষের সাথে। মৈনটঘাটের প্রতিদিনের খাস কালেকশনের টাকার হিসেব গড়মিল, নামে বেনামে সম্পদ অর্জন ও প্রতারণার নানা অভিযোগ রয়েছে এই সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে জানা যায়, মৈনটঘাটে কোন ইজারা না থাকায় প্রতিদিনের খাস কালেকশনের টাকা সংগ্রহ করেন নজরুল কবির। ঘাটের স্পিটবোট ও লঞ্চের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা আক্তার হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন প্রতিদিনের টাকার হিসাব স্থানীয় আজিজ মাষ্টারের মাধ্যমে দেয়া হয় এই নজরুলের কাছে। গত মাসের জমাকৃত টাকার হিসেবের খাতা দেখাতে না পেরে আজিজ মাস্টারের কাছে রক্ষিত রয়েছে বলে জানান আক্তার হোসেন। এবিষয়ে আজিজ মাস্টারের টেলিফোনে জানতে চাইলে তিনি হিসেব দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
অভিযোগ রয়েছে এই ঘাটের হিসেব বহির্ভূত অনেক টাকাই চলে যায় নজরুল ও আজিজ মাস্টারসহ আরও কয়েকজনের কাছে। যেখানে প্রতিমাসে বিপুল পরিমানে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এদিকে নজরুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতিদমন কমিশনসহ বেশ কয়েকটি দপ্তরে জমা পরে অভিযোগ।
জানা যায়, গত তিন বছর আগে নজরুল নিজের আত্মীয় পরিচয়ে ঢাকা জেলার বাইরের দুইজন ব্যক্তির নামে প্রথমে ভূয়া জন্মনিবন্ধন করে বন্দবস্ত নেন সরকারি জমি। পরে ঐ জমি দখলের জন্য রাতের আধারে গাইডওয়াল নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয়দের তোপের মুখে পরেন তিনি।
এখানে কিছুটা ব্যর্থ হয়ে এবার নজরুল ভিন্ন কৌশলে, দোহারের ঠিকানায় ভোটার হতে জমি লিখে নেন মাহমুদুপুর ইউনিয়নের মো.জয়নাল নামে এক ব্যক্তির জমি। এদিকে দীর্ঘদিন পার হলেও সেই জমিটিও আর ফেরৎ না দিয়ে দখল নেন নজরুল ইসলাম।
সীমিত বেতনের চাকুরী হলেও নজরুল নিজ জেলায় ময়মনসিংহে গড়েছেন বিলাসবহুল বাড়ি। গত ৬ আগষ্ট দোহারের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ক্রয় করেন নিশান গাড়ি। উপজেলার অভ্যন্তরে গাড়ি পার্কিং করলেও প্রশাসনের মন্তব্য কিছুই জানেননা তারা।
আনুষ্ঠানিক বক্তব্য নিতে চার ধন্টা উপজেলায় অপেক্ষা করেও নজরুলের কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তিনি জানান এবিষয়ে তিনি কিছুই বলবেন না।
এদিকে মৈনটঘাট ও নজরুলের বিষয়ে কথাবলতে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তার অফিসে গেলে ক্যামেরা বাইরে রেখে যাওয়ার শর্তে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া যায়। নির্বার্হী কর্মকর্তা ইলোরা ইয়াসমিন জানান মৈনটঘাটের খাস কলেকশনের জন্য নতুন করে আলাদা একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া কোন ব্যক্তির অবৈধ আয় বা সম্পদের বিষয়ে দায়ভার প্রশাসন নেবে না।