দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি. ঢাকার দোহারের পদ্মা নদীতে প্রশাসনের অভিযানে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। গত ১৯ অক্টোবর শনিবার ‘‘মিলে মিশে পদ্মার বালু লুটপাট’ এই শিরোনামে ‘ডিএন টাইমস ২৪/৭’ ও স্থানীয় ‘সাপ্তাহিক এশিয়া বার্তা’সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর সোমবার দুপুরে উপজেলার নয়াবাড়ী ইউনিয়নের পদ্মা নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় হাতে নাতে ২৫ জনকে আটক ও ২টি ড্রেজার জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও নৌ পুলিশ। বিকেল ৩ টায় নদীর মাঝ হতে তাঁদেরকে আটক করা হয়।
নৌ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, নয়াবাড়ী ইউনিয়নের পাতরাইল ও মির্জাপুর এলাকায় একটি একটি চক্র ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা বিক্রি করছিলো। রোববার এলাকাবাসী মাটি কাটা বন্ধে এবং তাঁদের ঘরবাড়ি রক্ষা ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য টিকিয়ে রাখার জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন দেয়।
এ বিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলোরা ইয়াসমিন বলেন, নদী থেকে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে পদ্মার তীর সংরক্ষণের কাজের সাথে জড়িত কয়েকজন আছে। তাঁদের প্রকল্পের ম্যানেজার ওই লোকগুলো চিহ্নিত করলে বাকিদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এলাকাবাসী জানায়, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খান, জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, দোহারের জয়পাড়ার জহির উদ্দিন, অনু বেপারীসহ একটি সিন্ডিকেট এ বালু ব্যবসার সাথে জড়িত। তাঁরা মানিকগঞ্জের নেছরাগঞ্জে ইজারাকৃত বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলন না করে দোহারের সীমানায় অবৈধ ভাবে বালূ তুলে বিক্রি করছে। ধোয়াইর এলাকার মনির হোসেন বলেন, এরা দোহারে সীমানায় প্রবেশ করে বালু তুলছে। কারণ এখানে বালুর স্তর ভালো এবং বিক্রি হয় বেশী। তাই তারাঁ এলাকা বেছে নিয়েছে। সাধারণ মানুষ তাদেঁর প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি।
এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খান বলেন, তিনি ও তাঁর লোক মাসুদ এবং অনু এরা সবাই বৈধ ইজারা নিয়ে বালু কাটছেন। তাঁরা প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে হরিরামপুরের নেছরাগঞ্জ কমৌজায় সরকারী বালু মহালের ইজারা নিয়েছেন। তবে দোহার সীমানায় কারা মাটি কাটে তা তিনি জানেন না।