নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পুজার শুরুর দিন থেকেই হিন্দু ধর্মালম্বীদের নির্বিঘ্নে উৎসব উদযাপনের বিষয়ে আশ্বস্ত করতে প্রতিটি মন্দিরে গিয়ে মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেন তারা। একইসাথে পৃথকভাবে কয়েকটি টিম গঠন করে ইউনিয়ন ভিত্তিক মন্দিরগুলোতে দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষার্থীরা। উৎসবকে কেন্দ্র করে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে যানজট নিরসনে স্কাউটস্ সদস্যদের সমন্বয়ে কাজ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে এ দায়িত্ব পালন করেন তারা।
‘একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ’ গড়ার বার্তা নিয়ে ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার বিভিন্ন পুজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছে উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা।
উপজেলার অন্যতম লটাখোলা-চরজয়পাড়া মন্দিরে শারদ উৎসবের অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন রাসেল আহমেদ ও এ আর শিপন। তাঁরা বলেন, ধর্মের উপর আঘাত করার সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না। হিন্দু-মুসলিম সহ সকল ধর্মের মানুষ মিলেই বাংলাদেশ। সবাই যার যার অধিকার নিয়ে বাংলাদেশে বসবাস করবে। আমরা সবাই বাংলাদেশী। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে কুচক্রী মহল যেন কোন অশুভ ঘটনা না ঘটাতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তারা বলেন, আমাদের দায়িত্ববোধের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনে কাজ করছি আমরা। সবাই এক থাকলে এই দেশে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয়া হবে।
এ সময় দোহার উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।