উপজেলার কোমরগঞ্জ গ্রামের মো. আক্কাস মিয়া বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নবাবগঞ্জ থানায় এ মামলা রজু করেন।
মামলায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. পলাশকে প্রধান আসামী করে ৪২ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরো ৫০/৬০ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলা নং ৪, ০৪/০৯/২০২৪।
বাদীর এজাহার সূত্র জানায়, গত ৪ আগষ্ট দুপুর ১২টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের ১ দফা আন্দোলন আদায়ের জন্য কোমরগঞ্জ যাত্রী ছাউনীর সামনে ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে অবস্থান নেয়।
এসময় আসামীদের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র, গান পাউডার, ককটেল বোমা, দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্র-জনতার উপর হামলা করে। হামলাকারীদের হাতে থাকা শর্টগান দিয়ে ছাত্র-জনতার উপর গুলি ছোড়ে।
আমি ভীত হয়ে দৌ্ড়ে যাত্রী ছাউনীর পাশে আমার ফার্নিচারের দোকানে প্রবেশ করি। হামলাকারী কয়েকজন আমার দোকানে এসে আমাকে এলোপাতারি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে ক্যাশ বাক্স ভেঙে নগদ টাকা লুটে নিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা আহত শিক্ষার্থীসহ আমাকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার অবস্থা গুরুতর দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠান। নিজের চিকিৎসা ও আসামীদের নাম সংগ্রহ করে এজাহার দায়েরে বিলম্ব হলো।
নবাবগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ্ জালাল গণমাধ্যমকর্মীদের মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।